ঢাকা , মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে গ্রামে এখনো পৌছায়নি বিদ্যুৎ কিংবা ইন্টারনেট

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৯-১২-২০২৪ ১১:২০:৪৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-১২-২০২৪ ১১:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
যে গ্রামে এখনো পৌছায়নি বিদ্যুৎ কিংবা  ইন্টারনেট সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
বর্তমান যুগে বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট ছাড়া জীবন অচল। শিশু থেকে বয়স্ক প্রত্যেকেই এখন ইন্টারনেটমুখী। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবার আরও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি অনেক কাজেও নেট লাগে। তবে ভারতেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে ইন্টারনেট তো দূরের কথা, বিদ্যুৎই ব্যবহার করা হয় না।

শুধু বিদ্যুৎ কেন, গ্যাস, আলো, পাখা, মোটর ব্যবহারের চল নেই সেই গ্রামে। মানুষ যে একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছে, তা ওই গ্রামের বাসিন্দাদের দেখে বোঝার জো নেই। কথা হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্মা গ্রামের। শ্রীকাকুলাম শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেই গ্রামের বাসিন্দারা জীবনযাপন করেন প্রাচীন পদ্ধতি মেনে। সেই গ্রামের বাসিন্দারা সাফ জানিয়েছেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন তাদের নেই। বরং, পুরনো ঐতিহ্য নিয়েই বেঁচে থাকতে স্বচ্ছন্দ্য তাঁরা।
কুর্মা গ্রামের সব ঘরই ‘পেনকুটিল্লু’, যার অর্থ এমন বাড়ি যা চুন এবং কাদা দিয়ে তৈরি। প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করার পরেই চোখে পড়বে একট হলঘর এবং হলঘর সংলগ্ন একটি ‘নাইয়া’ বা কুয়ো। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ঢুকলেই হলঘরের ডান দিকে একটি পুজোর ঘর এবং তার পাশেই রান্নাঘরের দেখা মিলবে।

রান্নাঘরগুলিতে খাবার রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জামের পাশাপাশি কাঠের উনুন দেখতে পাওয়া যায়। হলের বাঁ দিকে দু’টি শোওয়ার ঘর। শয়নকক্ষগুলিতে মাটির তৈরি ছোট ছোট কুটুরি রয়েছে। ওই কুটুরিগুলি জামাকাপড় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। পচনশীল বর্জ্য থেকে কুর্মার বাসিন্দারা বিশেষ ধরনের ছাই তৈরি করেন, যা পরে সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কুর্মা গ্রামের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার ঘোর বিরোধী। মনে করেন, ওই দুই জিনিস গ্রামে ব্যবহার শুরু হলে ঐতিহ্য নষ্ট হবে। আর সে কারণেই তাঁরা বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেটকে গ্রামে ঢুকতে দেননি।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ